উত্তরপ্রদেশের ফেলে এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করল পুলিশ। কুলদীপ সেঙ্গারের পর এ বার রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, তাঁর পরিবার ও সঙ্গী-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন বছর চল্লিশের এক বিধবা মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ধর্ষণের ধারায় মামলা রুজু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
মহিলার অভিযোগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর ভাইপোর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই ওই যুবক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে। পাশাপাশি ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোটের সময় একটি হোটেলে রেখে বিধায়ক , তাঁর সঙ্গী ও পরিবারের লোকেরাও দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেছেন তাঁকে।
বাদোহীর পুলিশ সুপার রাম বাধন সিংহ একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘২০০৭ সালে মহিলার স্বামী মারা যান। ২০১৪ সালে বিধায়কের ভাইপোর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। মহিলা জানিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহুবার তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন ওই যুবক। মহিলা আরও বলেছেন, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের সময় তাঁকে একটি হোটেলেও রাখেন ওই যুবক। সেখানে বিধায়ক ও তাঁর ৬ সঙ্গী টানা প্রায় এক মাস ধরে ধর্ষণ করেছেন তাঁকে।’ মহিলা আরও জানিয়েছেন, এই ধর্ষণের জেরে তিনি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন।
এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই প্রাথমিক তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক অফিসারকে নিয়োগ করা হয়। ওই অফিসার ধর্ষণের পক্ষে ইতিবাচক রিপোর্ট দেওয়ার পরেই বিধায়ক-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ওই মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। তবে এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। খতিয়ে তদন্ত করে তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।