আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ে হাইস্কুলে বাংলা পড়ানো বন্ধ করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের ফটকের কাছে বুধবার বিক্ষোভে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা স্কুলের অধ্যক্ষ হিরন্ময় মুখোপাধ্যায়ের কাছে এব্যাপারে স্মারকলিপি দিয়েছে। কেন বাংলা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে যদিও কোনও মন্তব্য করেননি অধ্যক্ষ। ফোন করে কোনও মতামত পাওয়া যায়নি ইস্টার্ন রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছ থেকেও।
এই স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট এক হাজার জন পড়ুয়া রয়েছে। সূত্রের খবর, এই স্কুলটি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বদলে কেন্দ্রীয় বোর্ডের (সিবিএসই) অধীনে যেতে চাইছে। সেই জন্যই পড়াশোনার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা পড়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে এই স্কুলে বাংলা মাধ্যমে এখনও অবধি সাতশোর উপরে ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে।
প্রসঙ্গত, আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় পূর্বরেলের একটি বাংলা মাধ্যম স্কুল রয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমার পাণ্ডবেশ্বরের উখড়ায় রয়েছে আরেকটি স্কুল। সেইসব স্কুলে তাঁদের বদলি করা হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। সূত্রের খবর, ইংরেজি শেখার তাগিদে ক্রমেই ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে, পড়ুয়াদের সংখ্যা কমছে বাংলা মাধ্যম স্কুলে। এই পরিস্থিতে দেখে ও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ে হাইস্কুলটিকে সিবিএসই-র আওতায় আনতে চলেছে পূর্বরেল।
এদিন বাংলা মাধ্যমে পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে স্কুলের সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেস। স্কুলের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গত বছর ইস্টার্ন রেলের এই স্কুলে বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে ডিআরএমের কাছে বিক্ষোভ দেখানোর পরে পুনরায় বাংলা বিভাগ চালু হয়েছিল। এবছর আবার বাংলা মাধ্যম তুলে দেওয়ার নির্দেশের কথা শুনে ডিআরএমের সঙ্গে আমরা দেখা করি। তিনি জানিয়েছেন যে এটি পূর্বরেলের জিএমের নির্দেশ, তাই তাঁর কিছু করার নেই।’