গতকালই জানা গিয়েছিল যে, আগামী ১২ এপ্রিল কলকাতা এবং হাওড়া পুরনিগমের ভোট একসঙ্গে করাতে চায় রাজ্য সরকার। আসন্ন পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনাও করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তারপর দিন, বুধবার হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনার জেলাশাসকদের ডেকে বৈঠকে বসল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার দুই নির্বাচনী আধিকারিককেও।
ওই বৈঠকে জেলাশাসকদের সমন্বয় রেখে ভোটের সময় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কোথায় কত বুথ, কত ভোটার তা নিয়েও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোতে বলা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। আর তারপর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে প্রথামাফিক রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে কমিশন। সেইসঙ্গে আরও খবর পাওয়া গিয়ে যে, ইভিএম নয়, বরং পুরভোট ব্যালটেই করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নবান্ন সূত্রের খবর, কলকাতা এবং হাওড়ার ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর এপ্রিলের শেষ নাগাদ রাজ্যের মোট ১১২টি পুরসভার ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে এই পর্বে সম্ভবত বিধাননগর এবং আসানসোল পুরনিগমের ভোট হচ্ছে না। এই দুই পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, অক্টোবর মাস অর্থাৎ পুজোর পরেই এই দুই পুরসভার ভোট হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার ভোট হতে পারে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। সেই সূত্রেই আজকের এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বর্তমানে রাজ্যের বাইরে। তিনি কাজে যোগ দিলেই ভোটের দিনক্ষণ স্থির করা নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাওয়া হবে।