দিল্লী-মুম্বইকেও ছাপিয়ে গিয়েছে কলকাতা। এবার ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’-এ যোগ দিতে এসে এমনটাই জানালেন খোদ কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শিবদাস মিনা। গত শনিবার রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভার পদস্থ অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন ওই কেন্দ্রীয় অফিসার। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দু’বছরে দিল্লী, মুম্বই যা করতে পারেনি, মাত্র দু’মাসেই তা করেছে কলকাতা।’
প্রসঙ্গত, এ শহরে নির্মাণের অনুমোদন বা ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়া অথবা সম্পত্তিকর দেওয়া-সহ বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে মানুষের হয়রানি যাতে না হয়, ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’-এর মূল লক্ষ্য সেটাই। বছর দুয়েক হল মুম্বই ও দিল্লী-সহ একাধিক শহর ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ চালু করেছে। তাতে উপকৃত হচ্ছেন শহরবাসী।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে সেই নীতির অনুসরণ করা শুরু হয় কলকাতা শহরেও। প্রথমেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নির্মাণের নকশা অনুমোদনের পদ্ধতির সরলীকরণে। মেয়র জানান, নকশা অনুমোদনের জন্য অনেকগুলি দফতরে ঘুরতে হয় সাধারণ মানুষকে। এক-একটি অনুমোদন পেতেই বছর ঘুরে যায়।
বিল্ডিং দফতরের এক আধিকারিক জানান, সম্প্রতি নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য ‘কমন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম’ বা ‘ক্যাফ’ চালু করা হয়েছে। অনলাইনে যে কেউ ওই ফর্ম পূরণ করে পাঠিয়ে দিলে পরবর্তী সব কাজ করবে পুরসভা। কোনও আবেদনকারীদের নানা দফতরে ঘুরতে হবে না। কেন্দ্র বা রাজ্যের কোনও দফতরের ‘নো অবজেকশন’ লাগলে তা জোগাড় করবে পুরসভাই। আইনি কোনও জটিলতা না থাকলে আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হবে।
কলকাতা পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার এই বিষয়টি পাওয়ার পয়েন্টে দেখানো হয় কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত সচিবকে। তা দেখেই সন্তুষ্ট হন তিনি। শিবদাস মিনা জানান, দেরিতে শুরু করলেও কলকাতার উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে।