সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এবছরের শুরুতেই জানানো হয়েছিল, ভারতের অনেকেই নাকি কালো টাকা জমিয়ে রেখেছেন। এই সন্দেহের তালিকায় থাকা সাড়ে তিন হাজার অ্যাকাউন্টধারীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয় ধনকুবের ও বিভিন্ন ভারতীয় ট্রাস্ট রয়েছে। এই বিষয়ে সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, এই কালো টাকার কারবার আটকাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে৷
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেই কোনও তথ্য নেই এই বিষয়ে। কারণ মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা অর্থ কমেছে, এই মর্মে কোনও তথ্য কেন্দ্রের হাতে নেই। পাশপাশি তাঁর দাবি, ২০১৫ সালে কালো টাকা প্রতিরোধে নয়া আইন আনার পরেই কেন্দ্র এবং আয়কর দফতর একযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করায় এই ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য এসেছে। এজন্য গত বছরে শেষে বারো হাজার ছশো কোটির অঘোষিত কালো টাকা খুঁজে বের করে সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে ৪২২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রীর বক্তব্য, কালো টাকার কারবার রাখা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও কেন্দ্রের মূল লক্ষ্যগুলির অন্যতম।
অনুরাগ এদিন জানিয়েছেন, এইচএসবিসি ব্যাংকে জমা রাখা অঘোষিত আট হাজার চারশো ষাট কোটি টাকার হদিশ পাওয়ায় তার প্রেক্ষিতে এক হাজার দুশো নব্বই কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে এবং ২০৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি আবার ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের সূত্র ধরে বিদেশি অ্যাকাউন্টে এগারো হাজার দশ কোটি টাকার অঘোষিত আয়ের কথা জানা গিয়েছে। এগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত ৯৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পানামা পেপার লিক মামলাতেও ভারতীয়দের এক হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ কোটি কালো টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।