সিএএ-এনআরসির বিরোধিতায় একাধিক বার পথে নেমেছেন রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। দেশের এই বেহাল দশায় কলম ও অস্ত্রের লড়াইয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন তাঁরা৷ চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, সাহিত্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরাই মিছিল করেছেন। এবার কলকাতা বইমেলায় কবি সুভাষ মঞ্চে ‘ঐকতান’-এর অনুষ্ঠানে বাঙালি উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব ঘোষণার দাবি করলেন সভায় উপস্থিত বিশিষ্টরা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাঁদের আর্জি, এনআরসি-এনপিআর নিয়ে উদাসীন থাকবেন না। এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের মতো বিষয়। সচেতনতা গড়ে তুলুন।
গতকাল আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয় ঐকতানের নাগরিকত্বের নাগপাশ এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বা: বোধ ও বোধি বই দুটির। বই প্রকাশ করে মুজফফরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপাচার্য অতুলকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘সংবিধানে সকলের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এই আইন যেন মানুষের ক্ষতি না করে।’ আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে ঐকতান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি এর সাফল্য কামনা করি।’ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, অবসরপ্রাপ্ত আয়কর কমিশনার অমরকৃষ্ণ বিশ্বাস, অধ্যাপক জ্যোতির্ভূষণ দত্ত, ঐকতান পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক নীতীশ বিশ্বাস প্রমুখ।