এদিন জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন উপত্যকার ইস্যুতে কেন্দ্রের সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান অধীর। মূলত জনসুরক্ষা আইনের অছিলায় যেভাবে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। সেই নিয়ে বহরমপুরের সাংসদ বলেছেন, উপত্যকা শুধুই ভারতের সঙ্গে ‘শারীরিকভাবে’ রয়েছে, মানসিকভাবে নয়।
কঠোর জনসুরক্ষা আইনে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে পিডিপি ও এনসির অন্যান্য নেতাদের৷ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট এসে মুফতিকে গ্রেফতারের অর্ডার দেন৷ বন্দিদশায় এখানেই রয়েছেন তিনি৷ জনসুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয় ওমর আবদুল্লাকেও৷ অনেক সময়ই এই আইনকে কালা কানুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। ওমর আবদুল্লার বাবা তথা জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকেও এই একই আইনের বলে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর তারপর থেকেই নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের। প্রায় ৬ মাস বন্দী জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাদের বন্দী দশা নিয়ে যখন দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই গ্রেফতার করা হল তাঁদের৷ কঠোর জনসুরক্ষা আইনে বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
পুরো বিষয়টি নিয়েই এদিন মোদী সরকারকে তুলোধনা করেছেন অধীর। শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে এরকম যা ইচ্ছে তাই করা যায় না।’ অধীরের বক্তব্য, ‘গতকালই সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওমর আব্দুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিদের বিরুদ্ধে কথা বললেন, আর রাতেই ওদের জনসুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয়। কাশ্মীরকে কি এভাবে আদৌ চালানো যায়?’