গতকালই শান্তিনিকেতনে শ্রীনিকেতন মেলার উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, শুক্রবার রাজ্যের অভিভাষণ পাঠ করলেও, নিজের প্রস্তাবও দেবেন তিনি। যা বিধানসভায় ইতিহাস তৈরি হবে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর ২টোয় রাজ্য বিধানসভায় ধনকর ভাষণ শুরু করতেই তাঁর সামনে বিরোধিতায় সরব হল তৃণমূল বিধায়করা। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে আগেই রাজ্যের সব মন্ত্রী ও দলীয় বিধায়কদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ভারতের সংবিধান ও সাদা অ্যাপ্রন। দেওয়া হয়েছিল নো এনআরসি, নো সিএএ, এবং স্লোগান লেখা ব্যান্ডও। আর পূর্ব পরিকল্পনা মতই হাতে সংবিধান নিয়ে, গায়ে অ্যাপ্রন জড়িয়ে, মাথায় ব্যান্ড বেঁধে বিধানসভা কক্ষে আসেন তাঁরা। এবং তারপরই রাজ্যপালের সামনে শুরু হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরোধিতা।
উল্লেখ্য, নতুন ক্ল্রে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের এই সংঘাতের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে গত সাত দিন ধরে। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল যে বক্তৃতা দেন তার বয়ান লিখে দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রীসভায় তা অনুমোদনের পর তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু নবান্নের লিখে দেওয়া বক্তৃতার কিছু বক্তব্য নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাজ্যপালের। তিনি, সেগুলি বদলে দেওয়ার ও কিছু বিষয় সংযোজন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বাজেট পেশের আগেই তাঁকে তা দেখানোর আবদার করেন ধনকর। যা সরকার মানতে চায়নি। তাই বিধানসভা ভবনে তৃণমূলের যে দলীয় বৈঠক হয়, তাতে ঠিক হয় রাজ্যপাল যদি কোনও নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তাহলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ স্লোগান সবকিছুই হবে, কিন্তু সেটা যেন শালীনতার সীমা না ছড়ায়। যেন ওয়েলেও না নামেন তৃণমূল বিধায়করা। সেই মতোই নিজেদের আসনে বসে শুধুমাত্র এনআরসি-সিএএ-এনপিআরের বিরোধিতা করেন তাঁরা।