স্পেনের এক দৈনিকে বিদায়ী ম্যানেজার আর্নেস্তো ভালভার্দে বরখাস্ত হওয়ার জন্য ঘুরিয়ে বার্সার ফুটবলারদেরই দায়ী করেন ফ্রান্সের প্রাক্তন ডিফেন্ডার তথা বার্সেলোনার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি এরিক আবিদাল। আর এরপরই আবিদালের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান লিওনেল মেসি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তিনি পোস্ট করে লেখেন, ব্যাপারটা গুজব। দাবি করেন, কোন কোন ফুটবলার ভালভার্দের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি তাঁদের নাম জানানো উচিত ছিল আবিদালের। এই ঘটনায় বার্সেলোনা ক্লাবে সঙ্কট সৃষ্টি হয়। পরিবেশ স্বাভাবিক করতে বুধবার রাতে আবিদালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তোমিউ।
এদিকে, স্পেনের প্রচারমাধ্যমের খবর, প্রেসিডেন্ট আবিদালকে মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজ করে যেতে বলেছেন। একটি মহল আবার মনে করছে, এই ঘটনায় আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হল। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের অনুমান, পরিস্থিতির সুযোগ নিতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তাঁকে দলে পেতে ঝাঁপাবে। এমন অনুমানের কারণ পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে মেসির দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। বার্সা অধিনায়কের সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি শেষ হচ্ছে ২০২১-এ। এখনকার চুক্তির একটি শর্ত, কোনও কারণে অখুশি হলে মরসুমের শেষে মেসি ক্লাব ছাড়তে পারবেন।
তবে বার্সেলোনার নতুন ম্যানেজার কিকে সেতিয়েন পরিষ্কার বলে দিলেন, লিওনেল মেসি বনাম ক্লাবের টেকনিক্যাল সেক্রেটারি এরিক আবিদালের দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি মন্তব্য করবেন না। তিনি বলেন, ‘মেসি বা অন্য কারও জীবনের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই না। আমার আগ্রহ ফুটবলে। বাকি যা যা আছে, সেখানে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই, সে সব নিয়ে মাথাও ঘামাই না।’ তবে মেসি কি এরমধ্যেই ক্লাব ছাড়বেন? তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি বার্সার নতুন ম্যানেজার।