মার্কিন কংগ্রেসে শেষ হল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। প্রত্যাশামতোই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বেকসুর খালাস পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মতে বুধবার প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট নিয়ে ভোটাভুটি হয় মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে।
আমেরিকার ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন এবং তাঁর ছেলের ব্যাপারে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন ট্রাম্প নিজে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন এতে রাজি না হওয়ায় তাদের ৪০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একার সিদ্ধান্তে বন্ধও হয়ে যায় অনুদান।
এছাড়াও, মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগও আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। এদিন, প্রথম অভিযোগে ট্রাম্পকে বেকসুর খালাস দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন ৫২ জন সেনেটর। বিপক্ষে ভোট দেন ৪৮ জন। দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে ৫৩-৪৭ ভোটে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার শেষে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ডেমোক্রেটরা। ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়টা আরও বাড়বে। খানিকটা সে দিকেই ইঙ্গিত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৪৯ শতাংশ মার্কিন ভোটার ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন। ফলে দ্বিতীয়বার নিজের পদ ধরে রাখতে পারবেন ট্রাম্প বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে কোনও ভাবে যদি মার্কিন কংগ্রেসে দোষী সাব্যস্ত হতেন ট্রাম্প, তাহলে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হতো। কিন্তু তেমনটা তো হলই না, উল্টে বেকসুর খালাস পাওয়ার পরেই ট্রাম্পের নির্বাচনী দফতর থেকে ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, “ডেমোক্র্যাটরা জানতেন, কোনও ভাবেই ট্রাম্পকে ইমপিচ করা যাবে না। তার পরেও কেবল ভোটের দিকে তাকিয়ে এমনটা করেছেন তাঁরা।”