বাবাকে সন্ত্রাসবাদী বলায় বিজেপিকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল কন্যা হর্ষিতা৷ এদিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হরশিতা কেজরিওয়াল বলেন, বাবা আমাকে গীতা পড়া শিখিয়েছেন৷ সকালে উনি গান করেন, ইনসান সে ইনসান কা হো ভাইচারা৷ এসবই কি সন্ত্রাসবাদের উপমা? হর্ষিতা আরও বলেন, আমার বাবাকে সবসময়ই নানানভাবে সমাজিক কাজে সবসময় জড়িয়ে থাকতেই দেখেছি ৷ বাবা প্রতিদিন সকালে আমার ভাই, মা, ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও আমাকে ঘুম থেকে তোলেন এবং তারপর ভাগবত গীতা পাঠ করান ৷ গান করেন ইনসান সে ইনসান কা হো ভাইচারা৷
হর্ষিতা কেজরিওয়াল বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সন্ত্রাসবাদ? বাচ্চাদের শিক্ষিত করা সন্ত্রাসবাদ? বিদ্যুৎ সরবরাহ ও জল সরবরাহের উন্নতি করা সন্ত্রাসবাদ? দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সন্ত্রাসবাদী বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মা৷ আশ্চর্যজনক ভাবে প্রবেশের সমর্থনে এগিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ সোমবারেই তাঁরই চাঞ্চল্যকর দাবি, কেজরিওয়াল যে সন্ত্রাসবাদী, তার একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর আরও বলেছেন, ‘কেজরিওয়াল এখন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জিজ্ঞাসা করছেন, আমি কি একজন সন্ত্রাসবাদী? হ্যাঁ, আপনি সন্ত্রাসবাদী৷ তার একাধিক প্রমাণও রয়েছে৷ আপনি নিজেই নিজেকে বলেছেন, আপনি একজন অ্যানার্কিস্ট (নৈরাজ্যবাদী)৷ নৈরাজ্যবাদীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীর খুব একটা পার্থক্য নেই৷’
দিন কয়েক আগেই বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মাকে শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন কেজরিওয়ালকে সন্ত্রাসবাদী বলার অভিযোগে ৷ প্রবেশ ভার্মার ওই মন্তব্যের পরে কেজরিওয়াল বলেন, ‘নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করছি৷ বিনামূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করেছি। গরিবদের জন্য এত কিছু করেছি। কোনও দিন নিজের বা নিজের পরিবারের কথা ভাবিনি। আমি দেশের জন্য আমার জীবন দিতেও প্রস্তুত। দিল্লির মানুষের সার্বিক উন্নতির স্বার্থে নিজের সর্বস্ব দান করেছি। রাজনীতিতে আসার পর থেকেই এত বাধা অতিক্রম করে আমি শুধু মাত্র মানুষের ভালো করার চেষ্টাই করে গিয়েছি। তার পরিবর্তে বিজেপি কিভাবে আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলে দিল!’