আয় নেই। কর আদায় প্রত্যাশামতো হয়নি। ফলে চলতি আর্থিক বছরে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বা আর্থিক ঘাটতি রীতিমতো চরমে। শুক্রবার কন্ট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টস বা সিজিএ প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেল, চলতি অর্থবর্ষে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ফারাক দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৩১ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। অথচ কেন্দ্রের লক্ষ্য ছিল ২০২০-র ৩১ মার্চের মধ্যে এই ঘাটতিকে জিডিপির ৩.৩ শতাংশ বা ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকায় আটকে রাখা। ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়ের তুলনায় সরকারের বেশি খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় কম হওয়াতেই এই ঘাটতি বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ সালে বাজেটের আনুমানিক হিসেবে আয় ও ব্যয়ের ঘাটতি ছিল ১১২.৪ শতাংশ। চলতি বছরে তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
সিজিএ জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৯-২০ সালের বাজেটে আয়ের যে হিসেব দেওয়া হয়েছিল, তার তুলনায় আয় হয়েছে মাত্র ৫৮.৪ শতাংশ। এই হিসাব ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত। অথচ এর আগের আর্থিক বছরে একই সময়সীমায় আয় হয়েছিল বাজেটে পেশ করা হিসাবের ৬২.৮ শতাংশ৷ অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষে আয় কমেছে ৪.৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বিচার করলে চলতি অর্থবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের মোট খরচ হয়েছে ২১.০৯ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ ওই সময়সীমায় আয় হয়েছে মাত্র ১১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা। যার অন্যতম কারণ হল কর্পোরেট করে ছাড়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার কর্পোরেট কর ছাড় দিয়েছিল মোদী সরকার। এতেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা যায়। আর যেহেতু আয় কম, অথচ খরচ কমানো যাচ্ছে না, তাই আয়-ব্যয়ের ঘাটতি বেড়েই চলেছে। এবং এই ঘটনায় এখন আরও উদ্বেগে রাখছে মোদী সরকারকে।