প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সিএএ বিরোধী সভা করতে গেলে হায়দ্রাবাদে গ্রেফতার করা হয় ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে৷ এই ঘটনায় সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-কে একহাত নিলেন দলিত নেতা। সোমবার সাতসকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আজাদ। বলেন, তেলেঙ্গানায় স্বৈরতন্ত্র চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ রাজ্যের মানুষের মৌলিক অধিকারকে পায়ের তলায় পিষে মারছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি জানান, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় ফের হায়দ্রাবাদে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয়৷ তাঁর কথায়, প্রথমে আমাদের লোককে লাঠি দিয়ে মারা হয়৷ তারপর আমাদের গ্রেফতার করা হয়৷ এরপর আমাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়৷ পাঠানো হচ্ছে দিল্লী। তিনি আরও বলেন, হায়দ্রাবাদ পুলিশ তাঁকে জোর করে বিমানবন্দরে নিয়ে গেছে৷ তারপর তাঁদের দিল্লী পাঠানো হয়৷
৭১ তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে হায়দ্রাবাদে রবিবার আজাদের একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল৷ বিক্ষোভ সংগঠিত করেন টিআইএসএস ও হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷ সেখানে যোগ দিতে গিয়েই গ্রেফতার হন ৩৩ বছরেরে ভীম সেনা প্রধান৷ আজাদকে প্রথমে হাবিব নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলারাম থানায়৷ হাবিব নগর থানায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে গেলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘোষামহল স্টেডিয়ামে৷
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর থেকে জেল হেফাজতে ছিলেন আজাদ। ২০ ডিসেম্বর দিল্লীর দরিয়াগঞ্জে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেয়। তখন দিল্লীর জামা মসজিদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ। হাতে বিআর আম্বেদকরের ছবি নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তিনি। সেইসময় দিল্লী পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
অবশেষে ১৫ জানুয়ারি জামিনে তিহার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর জামা মসজিদে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদে শামিল হন ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ৷ সেখানে তিনি বিক্ষোভকারীদের সামনে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন৷ শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেয় দিল্লি আদালত৷ তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি ধর্মীয় স্থানে যেতে পারবেন, তবে শাহিন বাগ বা জামিয়া নগরে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিতে পারবেন না৷
ছাড়া পাওয়ার পরই তিনি যান জামা মসজিদে৷ গত মাসে এখান থেকে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন৷ জামা মসজিদে বিক্ষোভে শামিল হয়ে তিনি বলেন, আমি মসজিদে আসার আগে গুরুদ্বার ও মন্দিরে গিয়েছিলাম৷ আমি আদালতের নির্দেশ মানছি৷ তিনি আরও বলেন, এখানে কোনও বিক্ষোভে শামিল হননি৷ শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেছেন৷