তৃণমূল কর্মীদের ওপর ফের গেরুয়া সন্ত্রাস। এবার তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গভীর রাতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ে। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে বুঝতে পেরে কোনোক্রমে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল কর্মীর। তবে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে ওই কর্মীর বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। অভিযোগ, তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতিকে মারার চেষ্টাতেই এই কাজ করে দুষ্কৃতীরা। এমনকী তিনি যাতে বেরোতে না পারেন তার জন্য বাড়ির দরজাতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজের মাটির বাড়ির মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন তৃণমূল কর্মী বাদল দাস। রাত একটা নাগাদ বাড়ির বাইরে একদল দুষ্কৃতী হাজির হয় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদল দাস। বাড়িটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকার পর ভেতর থেকে বুঝতে পেরে দৌড়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোনওভাবে বাইরে বের হতে সক্ষম হন বাদল বাবু। তার চেঁচামেচিতে শুনে প্রতিবেশীরা এসে যতক্ষণে আগুন নেভেন ততক্ষনে বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছিল।
ঘটনায় লালগড় থানায় অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর দুই শিশুকে নিয়ে কার্যত পথে বসেছে গোটা পরিবার। তবে লালগড়ের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাত বলেন, “অভিযুক্তরা এমন ঘৃণ্য কাজের জন্য যাতে দৃষ্টান্ত মূলক সাজা পায় তার জন্য অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের কোণঠাসা করতেই এই ধরনের কাজ করেছে ওরা। বাদল দাস কে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টা দেখুক”। সূত্রের খবর দলের তরফ থেকে পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। প্রশাসনকেও সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।