তৃতীয় রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করেছে রাজস্থান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভায় এই আইন বিরোধী বিলের প্রস্তাব আনবেন বলে ঠিক করেছেন। সর এতদিন পর এই সিএএ নিয়ে নিজের নীরবতা ভাঙলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। পুরভোটে বিপুল জয়ের পর তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, রাজ্য বিধানসভায় শিগগিরই বিতর্কিত সিএএ’র বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশ হবে। চন্দ্রশেখরের কথায়, ‘সিএএ কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ ভুল সিদ্ধান্ত। ভারত জনগণের দেশ, ধর্মের দেশ নয়।’
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনকে সমর্থন করার মতো কোনও কারণ নেই। ফলে আমাদের সমর্থনেরও প্রশ্ন নেই। এই আইন জনগণের একটি বিশেষ অংশের বিরুদ্ধে আরোপিত হচ্ছে। তা যদি হয়, তবে তাঁর সরকার প্রতিবাদই করবে। তেলেঙ্গানা সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করলে কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পরে চতুর্থ রাজ্য হিসেবে এই প্রস্তাব পাশ করবে। চন্দ্রশেখর মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের উচিত বিতর্কিত এই আইনটি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
২২ জানুয়ারি সিএএ বিরোধী ১৪৪টি আবেদন নিয়ে এক শুনানিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, সিএএ-তে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। কেন্দ্রকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘এটি সংবিধান পরিপন্থী। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আমার ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছি। আমি যে এই বিলের বিরোধী, তা স্পষ্ট করেই তাঁকে বলেছি।’