গতকালই একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দল ছাড়ার। আর আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির হাতে বিজেপির পতাকা ধরিয়ে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে দল ছাড়তে চলেছেন চন্দ্র বসু। শুক্রবার এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সূত্র মারফত। এ বিষয়ে চন্দ্র বসুর কাছে জানতে চাওয়া হলে দলত্যাগের কথা সরাসরি স্বীকার না করলেও এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উগরে তিনি।
সম্প্রতি নদীয়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিজেপির পতাকা। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান চন্দ্র বসু। এর নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে শাস্তির দাবি তোলেন তিনি। কিন্তু এই পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে চন্দ্র বসু বলেন, ‘এই ঘটনা নতুন নয়, দিলীপ ঘোষ সবসময়ই যে কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া করেন না।’ তাঁর কথায়, ‘এই পুরো বিষয়টির দ্বারা নেতাজিকে অপমান করা হয়েছে। কারণ নেতাজি সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বে। তার মতাদর্শকে যেকোনো রাজনৈতিক দল মেনে চলতে পারেন কিন্তু তাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা যায় না।’
এরপরই এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হন চন্দ্র বসু। তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বরাবরই আমার বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছেন। এতই যদি উনি বড় নেতা হন তাহলে ভবানীপুরে কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজে না দাঁড়িয়ে আমাকে দাঁড় করালেন। বিজেপি আসলেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। আর আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি নেতাজির মতাদর্শ নিয়ে কাজ করতাম। ওদের ভয়ে আমি যাতে জনপ্রিয় না হয়ে যাই।’
এদিন নিজের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে চন্দ্র বসু বলেন, ‘দক্ষিণ কলকাতায় যেখানে মমতার গড় সেখান থেকে আমি লক্ষাধিক ভোটে দিয়েছি বিজেপির ঘরে। আমাকে যদি খড়গপুরে দাঁড় করানো হতো সেখান থেকেও জয়ী হতাম আমি। এমনকী বাঁকুড়াতে দাঁড় করালে সেখানকার ভোট এনে দিতাম আমি। কিন্তু বিজেপি নেতাজিকে ভয় করে। তাই আমি নেতাজির আদর্শ মেনে কাজ করতে গেলে, জনপ্রিয়তা যদি বেড়ে যায় তাই আমাকে কখনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে বিজেপির মনে রাখা প্রয়োজন, সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে রাজনীতি চলে না।