এনআরসি-সিএএ-এনপিআর নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বেশ কয়েক বার তাঁকে পথে নামতে দেখেছে কলকাতা। পাশাপাশি, জেলায় জেলায় পদযাত্রা করে কেন্দ্রের এই জনবিরোধী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে তৎপর হয়েছেন তিনি। সেই প্রতিবাদের আঁচকে পাহাড়ে ছড়িয়ে দিতেই সিএএ-বিরোধী পদযাত্রা-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে সোমবার ৫ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত গোর্খাদের মনে ভরসা জোগাতে আজ, বুধবার সফরের তৃতীয় দিনে দার্জিলিংয়ে পদযাত্রা করবেন রাজ্যের মমতা। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে থাকার সময়ই জিএনএলএফ নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, এনআরসি–সিএএ বিষয়ে বিজেপি–র অবস্থানে তাঁদের সায় নেই। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে নামতেও রাজি।
পাহাড়ের মানুষের মনোভাব আঁচ করেই জিএনএলএফ নেতৃত্ব সুর বদল করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। জিএনএলএফ কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকেই সমর্থন করে বসলেন। দলের একটি অংশ মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে হাঁটার পক্ষে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি–র পাশে দাঁড়িয়েছিল জিএনএলএফ। কিন্তু এনআরসি-সিএএ-এর মত জনবিরোধী পদক্ষেপের পরে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে তারা। তারপরেই মমতাকে সমর্থন।
মঙ্গলবার দার্জিলিং প্রেস গিল্ডে সাংবাদিক সম্মেলন করে জিএনএলএফ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রি জানান, ‘ষষ্ঠ তপশিলই একমাত্র সমাধান। তাই আমরা চাই, দার্জিলিংকে ষষ্ঠ তপশিলের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’ ষষ্ঠ তপশিলের দাবি মেনে নিলে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে পা মেলাতে রাজি, এ কথাও কার্যত মেনে নিয়েছেন জিএনএলএফ নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, এনআরসি নিয়ে পাহাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অসমে এনআরসি–তে ১ লক্ষ গোর্খা জনজাতির মানুষের নাম বাদ পড়ায় সেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এভাবে আতঙ্ক ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ থাকুক, তা আমরা চাই না। কেন্দ্রের উচিত উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া।