গতকাল চরম উদ্বেগে, উত্তেজনায় রাতভর দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি কেউ। আশা ছিল, দেশভর সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের জেরে সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁদের পক্ষে আসবে। এমনই আশায় বুক বেঁধেছিলেন পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারীরা। তবে এখন সবার মনখারাপ। আজ সকালেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কেন্দ্রের বক্তব্য না শুনে সিএএ-এনআরসিতে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। এসিন সকালে শুনানির পরই সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। আর এই রায় প্রকাশ্যে আসার পরই মুষড়ে পড়েছেন পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারীরা।
এরইমধ্যে গতকাল, পার্ক সার্কাস ময়দানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এসে দেখা করেন মেধা পাটেকর। সেখানে আন্দোকারীদের মাঝে দাঁড়িয়ে সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় সুর চড়ান তিনি। মেধা পাটেকরের যোগদানে গতকাল অন্য মাত্রা পায় পার্ক সার্কাসের বিক্ষোভ। কিন্তু, আজকে শীর্ষ আদালতের রায়ের পর মুষড়ে পড়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই। চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
এই আন্দোলন, বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক উজমা আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মোদীর কানে কি মহিলাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছচ্ছে না?’ আরেক উদ্যোক্তা আসমাত-এ-জমিন বলেন, ‘মন ভেঙে গিয়েছে। তবে কিছুতেই পিছপা হব না আমরা। সুপ্রিম কোর্ট এক মাসের সময়সীমা দিয়েছে। সবাই ভাবছে, এই দীর্ঘ সময়ে আমরা বাড়ি চলে যাব। কিন্তু আমরা বৃহত্তর আন্দোলেনর পথে হাঁটব।’ এদিন রায় শোনার পর স্পষ্ট করে দেন আসমাত।
এদিকে আজ বিক্ষোভস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গোটা মাঠ মনীষিদের ছবিতে ঘিরে ফেলা হয়েছে। আগামিকাল ২৩ জানুয়ারি। তাই ২৩ জানুয়ারিকে সামনে রেখে সকল মনীষির ছবির মধ্যে নেতাজির ছবি রয়েছে মুখ্য ভূমিকায়। এছাড়াও গান্ধীজি থেকে আবদুল কালাম, সবার ছবি-ই রয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীর ছবি দেখা যায়নি। এদিনের রায়ের পর যে তাঁদের আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে, তা আন্দোলনকারীদের বক্তব্যেই পরিষ্কার।