ইংরেজদের আগে ‘ইন্ডিয়া’র ধারণা ছিল না— এই মন্তব্যের জেরে ট্রোল হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে ‘ইতিহাসবিদ’ বক্রোক্তি। ছবি, মানচিত্র পোস্ট করে নেটিজেনরা সইফ আলি খানকে বুঝিয়ে ছেড়েছেন যে ইংরেজদের আগেও ভারতবর্ষের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই শেষ নয়। এ বার গতকালই সইফ আলি খান দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন। আর তারপরই বিজেপির বেনজির আক্রমণের মুখে পড়লেন ছোটে নবাব। এমনকি তাঁর ছেলে তৈমুরকে পর্যন্ত জড়িয়ে সইফকে কটাক্ষে বিঁধলেন বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। সেই মীনাক্ষী লেখি, সিএএ-র বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কয়েকদিন আগেই যিনি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি।
বিজেপি নেত্রী তথা নয়াদিল্লী কেন্দ্রের সাংসদ মীনাক্ষী লেখি টুইটারে লিখেছেন, ‘তুর্কিরা তৈমুরকে (তৈমুর লঙ্গ) নিষ্ঠুর হিসেবেই দেখতেন। কিন্তু কিছু লোক নিজের ছেলের নাম রাখেন তৈমুর।’ অবশ্য শুধু মীনাক্ষী লেখিই নন, সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেও একই ধরনের আক্রমণ করেছেন সইফকে।
সইফ-করিনার ছেলের নাম তৈমুর রাখার সময়ও প্রশ্ন উঠেছিল। ওই সময় সইফ বলেছিলেন, ‘তুর্কি শাসকের ইতিহাস আমি জানি। তাঁর নাম ছিল ‘তিমুর’। কিন্তু আমার ছেলের নাম ‘তৈমুর’। প্রাচীন এই পার্সি নামের অর্থ ‘লোহা’। এই নামের অর্থও সুন্দর, শুনতেও ভাল লাগে।’ প্রসঙ্গত, তৈমুর লঙ্গ ছিলেন অত্যাচারী তুর্কি শাসক। হত্যা, লুন্ঠনের মাধ্যমে এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। ১৩৯৮ সালে ভারতে আক্রমণ করে দিল্লি তছনছ করেছিলেন ওই তুর্কি শাসক। এ হেন অত্যাচারী শাসকের নামে ছেলের নাম রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। এবার একই প্রশ্নে আক্রমণ শানাল বিজেপিও।