গত মরসুমে সফল স্ট্রাইকার এনরিকে এস্কোয়েদার বিকল্প হিসেবে এবছর মার্কোস এস্পাদাকে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজ গার্সিয়া। অন্যদিকে বিশ্বকাপার জনি আকোস্তার পরিবর্তে সই করিয়েছেন মার্তি ক্রেসপিকে। আর এই দুই ফুটবলারকে নিয়েই মোহভঙ্গ হয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। চব্বিশ ঘণ্টা আগে যুবভারতীতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল করলেও মার্কোসের পরিবর্তে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার নেওয়ার দাবিতে সরব তাঁরা। এমনকি কাঠগড়ায় তুলছেন কোচকেও।
শতবর্ষে দলের এই হাল দেখে হতাশ ক্লাব কর্তারাও। তাঁরাও মনে করছেন এই মুহূর্তে বেশ কয়েক জন ফুটবলার বদল না করলে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। রবিবার ডার্বির পরে যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই অন্যতম শীর্ষ কর্তা জানিয়েছিলেন, সব বিভাগেই ফুটবলার পরিবর্তন জরুরি। এই কারণেই আজ, মঙ্গলবার নিয়োগকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছেন ক্লাবের সাবেক কর্তারা।
লাল-হলুদ অন্দরমহলের খবর, এই মুহূর্তে মার্কোসের ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে। আর এক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বোরহা গোমেস শিশু সন্তানের অসুস্থতার জন্য দেশে ফিরে যাওয়ায় অপেক্ষাকৃত ভাবে কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছেন ক্রেসপি। কিন্তু কোচ কি রাজি হবেন মার্কোসের পরিবর্তে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার নিতে? রবিবাসরীয় ডার্বিতে বিপর্যয়ের পরেও তাঁর দলের স্ট্রাইকারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন কোচ। এর আগেও ফুটবলার পরিবর্তনের দাবি মানেননি তিনি।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের খবর, গত চব্বিশ ঘণ্টায় পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে নতুন বিদেশি নেওয়ার জন্য কোচকে প্রথমে অনুরোধ করা হবে। তিনি যদি রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে, তাঁর কোচিংয়ে একেবারেই খুশি নয় ক্লাব। ফুটবলার বদল করতে রাজি না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।
বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুত নিতেই গতকাল সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যেই আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। জানা গিয়েছে, আরও এক বার কোচের হাতে বেশ কয়েক জন বিদেশি ও ভারতীয় ফুটবলারের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের কথায়, ‘রক্ষণ, আক্রমণ ভাগ থেকে ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলার— আমাদের পর্যবেক্ষণ জানাব। কী ভাবে দলের উন্নতি হয়, তা নিয়েও আলোচনা করব। ইতিবাচক কিছু হবে বলেই আশা করছি।’