গত অক্টোবরেই আইএমএফের হিসেব বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ হতে পারে। সোমবার আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ১৩০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে আনা হয়েছে। এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল মোদী আমলে অর্থনীতির হাল ঠিক কতটা শোচনীয়।
আইএমএফের মতে, এই বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে এবার ৪.৮ শতাংশ। ভারতীয় অর্থনীতির হাল এবং জিডিপি বৃদ্ধির হার যে উদ্বেগজনক, তা নানা পরিসংখ্যানেই ধরা পড়ছিল। কিন্তু বাজেটের আগে এই রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
গত জুন–সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নেমে আসে। গত সাড়ে ছ’বছরে যা সর্বনিম্ন। পরিসংখ্যান দফতরের পূর্বাভাস ছিল, বছরের শেষার্ধে হাল কিছুটা ফিরবে এবং সব মিলিয়ে ৫ শতাংশের মতো দাঁড়াবে চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধির হার। সেই আশাতেও সংশয় বাড়িয়ে দিল আইএমএফের নতুন হিসেব। আগামী অর্থবর্ষে আইএমএফের পূর্বাভাস— বৃদ্ধির হার হবে ৫.৮ শতাংশ। আগের পূর্বাভাসের চেয়েও ০.৯ শতাংশ কম।
সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ এই বিরাট অবনমনের পিছনে দু’টি বড় কারণ নির্দেশ করেছেন। প্রথম, ব্যাঙ্ক–ভিন্ন আর্থিক ক্ষেত্রের দুরবস্থা। দ্বিতীয়, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে দুর্বলতা। বস্তুত, ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার যে কম হবে, কিছুদিন আগে এদেশে এসেও তা জানিয়েছিলেন গীতা।