এনআরসি-সিএএ-এনপিআর নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বেশ কয়েক বার তাঁকে পথে নামতে দেখেছে কলকাতা। এর পাশাপাশি জেলায় জেলায় পদযাত্রা করে কেন্দ্রের এই জনবিরোধী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে তৎপর হয়েছেন তিনি। এবার সিএএ-বিরোধী পদযাত্রা-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে সোমবারই ৫ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্য, সমতলের মতো পাহাড় থেকেও সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী আগামীকাল, বুধবার দার্জিলিংয়ে এনআরসি-র প্রতিবাদে মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রতিবাদ মিছিলে এবার পুরসভার কর্মীদেরও পাশে পেলেন তিনি। দার্জিলিংয়ের পুরসভায় যারা কাজ করেন এমনকী বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, যেভাবে আসামে গোর্খাদের নাম বাদ পড়েছে তাতে তাঁরা ভীত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগদান করে এই একই ইস্যুর প্রতিবাদে পথ হাঁটবেন পুরসভার কর্মীরাও, পাশে থাকবেন নেত্রীর। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এমনটাই জানিয়েছেন পুরসভার প্রতিনিধি দল।
প্রসঙ্গত, আসামে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন লক্ষাধিক গোর্খা। বাংলাতেও এনআরসি হলে এখানেও আসামের মতো তাঁদের বাদ পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভীত গোর্খারা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তাঁর কাছে এই ভয়ের কথা জানিয়েছেন পাহাড়ের গোর্খারা। জানা গিয়েছে, তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন মমতা।
উল্লেখ্য, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বিমানবন্দরেই ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান যে, তিন-চার দিনের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভাতে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনা হবে। তারপর উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়েও সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ নিয়ে কেউ চিন্তা করবেন না। আমি আছি। আমি আছি মানেই বাংলার মানুষ আপনাদের পাশে আছে। কেউ আপনাদের গায়ে হাত দিতে পারবে না।’