কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে মানব সভ্যতাকে যার প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। পরিচিত এই কথাটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন অ্যালফাবেটের প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই। গুগলের মতো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের প্রয়োগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তাও দিলেন পিচাই।
সুন্দর পিচাইয়ের কথায়, “বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে দেখতে হবে যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। আমি আশাবাদী, এই প্রযুক্তি শেষপর্যন্ত মানুষের উপকারেই লাগবে”। অ্যালফাবেটের প্রধান ল্যারি পেজ এবং প্রেসিডেন্ট সার্গেই ব্রিন দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর অ্যালফাবেটের সর্বময় কর্তা সুন্দর পিচাই। অ্যালফাবেটের অধীনে আছে গুগল এক্স, নেস্ট, গুগল ফাইবার, ক্যালিকো, লাইফ সায়েন্স এবং গুগল ফাইবার।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘‘নতুনভাবে শুরু করছি আমরা। চাই না কোনও খামতি থাকুক। এআইয়ের অপব্যবহার রুখতে আগে ভেবে দেখা উচিত কী ভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে পারে।’’ পিচাই আরও বলেন, একদিকে প্রযুক্তির উন্নতিতে এর প্রয়োগ হয়, অন্যদিকে একে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে অন্তর্জালের সম্ভাবনাও প্রবল। এআইকে ব্যবহার করে বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়িয়ে পড়তে পারে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢুকে পড়া যাবে মানুষের ব্যক্তিগত পরিসরে। রাষ্ট্র সহজেই নাগরিকদের ওপরে নজর রাখতে পারবে। খুব সহজে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে গুজব। প্রসঙ্গত, গুগল ফাইবার-এর অধীনে আছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। এই সমস্ত কিছুতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অতিরিক্ত নির্ভরতা আগামী দিনে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেই মনে করছেন পিচাই।