জাতীয় জনগণনা পঞ্জি (এনপিআর) তৈরির সময় বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান কেন জানাতে হবে— প্রশ্ন তুললেন একাধিক কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের মুখ্যসচিবেরা। কেন বারেবারে এভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস।
এই তথ্য জানানো ঐচ্ছিক হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলেই মনে করছেন বিরোধীদের অনেকে। কারণ, প্রথমত, বাবা-মায়ের জন্মস্থান কোথায় জানা নেই, এই কথা কেন্দ্রের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়ে তাঁদের আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রশ্নোত্তরের শেষে প্রত্যেক নাগরিককে হলফনামা দিতে হবে যে, তিনি জেনেশুনে ঠিক তথ্য জানালেন। রেজিস্ট্রার জেনারেল অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার অব ইন্ডিয়া (আরজিসিসিআই)-র কর্তাদের মতে, পরে তথ্যগত গরমিল ধরা পড়লে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং তাঁকে জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। যার সর্বোচ্চ পরিমাণ ১ হাজার টাকা।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল-সহ মোট ১৩টি রাজ্য এখনও পর্যন্ত এনপিআর হতে দেবে না বলে সরব। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে রাজস্থানের মুখ্যসচিব ডিবি গুপ্ত বাবা-মায়ের জন্মস্থান সংক্রান্ত প্রশ্নটি এনপিআরের প্রশ্নমালা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘বহু নাগরিক তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মস্থান না-ই জানতে পারেন।’’
তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘যে মুহূর্তে কেউ বলবেন যে, তিনি বাবা-মায়ের জন্মভিটে কোথায় জানেন না, সেই মুহূর্তে তিনি সন্দেহের তালিকায় চলে যাবেন। আর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে যাঁরা বাবা-মায়ের জন্মভিটে ও-পার বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) বলে জানাবেন, তাঁদের সন্দেহজনক তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে পূর্ণমাত্রায়। ফলে বিপদ উভয় ক্ষেত্রেই।’’