এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবস্থান চলছে রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে। গত ৭ দিন ধরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। আর সিএএ বিরোধি মঞ্চে মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। গতকাল রাজ্য স্তরের নেতারা এসেছিলেন অবস্থানে। ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি, নির্বেদ রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, ইন্দ্রনীল সেন, দোলা সেন, বাবুন ব্যানার্জি, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, জয়া দত্ত প্রমুখ।
সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী মঞ্চে উঠে এনআরসি ও ক্যা–র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “মমতা যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, তাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীদেরই এগিয়ে আসতে হবে”।
মূল মঞ্চের সামনে বসে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা বলেন, যতদিন না প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন এই আন্দোলন চলবে। শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার বাইরে থেকে বেশ কয়েকটি কলেজের পড়ুয়ারাও এদিন অবস্থান মঞ্চে আসেন। দুপুর থেকেই মঞ্চের নীচে অনেক ছাত্র পোস্টার লিখেছেন। সেই পোস্টার মঞ্চের ধারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী অবস্থান মঞ্চে আসেন। বিকেলের পর ছাত্রদের অবস্থান মঞ্চ দেখে যান সাধারণ মানুষও। রাজ্য নেতারা কয়েকজন ছাত্র ও ছাত্রীর বক্তৃতা শুনে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সন্ধ্যের মুখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য–সহ মঞ্চের ছাত্রছাত্রীরা উঠে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন। অবস্থান চলবে রবিবার পর্যন্ত। সোমবার থেকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস একই মঞ্চে অবস্থান শুরু করবে। সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। নেত্রী যেমনভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব।’