রবিবার যুবভারতীতে আয়োজিত হতে চলেছে মহাযুদ্ধ। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি যুদ্ধেরই সমান। অথচ আলেহান্দ্রোর দলের ফুটবলারদের চোখে সেই আগুন, মনে জ্বলে ওঠার বারুদ নেই। গত দু’দিন গোকুলামের বিরুদ্ধে খেলা ফুটবলাররা রিকভারি সেশনে অংশ নিয়েছেন। বাকি ফুটবলারদের দিকে ফোকাস করেছেন কোচ আলেহান্দ্রো। বিশেষত নবাগত দুই ফুটবলার লেফট ব্যাক আভাস থাপা ও ফরোয়ার্ড এডমুন্ড লালরিনডিকার প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। ডার্বিতে অভিষেক আম্বেকরের পরিবর্তে আভাস থাপাকে খেলাতে পারেন স্প্যানিশ কোচ। অন্যদিকে উৎকণ্ঠার আবহেই মোহন কোচ ভিকুনা কড়া নজর রাখছেন ছাত্রদের অনুশীলনে।
সবুজ-মেরুন অন্দরমহলের পরিস্থিতিও খুব একট স্বস্তিদায়ক নয়। রবিবার লিগের ডার্বির আগে এটিকের সঙ্গে বাগানের সংযুক্তিকরণের খবরে ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন ফুটবলারেরা। ডার্বির আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নেমেছেন দুই শীর্ষ কর্তা। শুক্রবার দুপুরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে অনুশীলন শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন মোহনবাগানের সহ-সচিব ও অর্থ সচিব। সবুজ-মেরুন অন্দরমহলের খবর, ফুটবলারদের তাঁরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। সকলেরই ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত। ফুটবলারদের মধ্যে কেউ কেউ প্রশ্ন করেছিলেন, আগামী মরসুমে তাঁদের নিয়ে কী ভাবছেন ক্লাব কর্তারা? জানা গিয়েছে, সরাসরি কোনও উত্তর দেননি দুই কর্তা। তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, ভাল খেললে কোনও ফুটবলারেরই ক্লাবের অভাব হবে না। উদ্বিগ্ন ফুটবলারেরা শুধু নন, কোচ কিবু ভিকুনাও। হাসিখুশি স্পেনীয় কোচ এ দিন থমথমে মুখে ডার্বির প্রস্তুতি সেরেছেন। আগামী মরশুমে তাঁর যে থাকার সম্ভাবনাও কার্যত নেই।
গত দু’টি ম্যাচে হেরে ডার্বির আগে লাল-হলুদ শিবির যথেষ্ট চাপে রয়েছে। তারপর প্রশাসনিক ডামাডোল তো রয়েইছে। ডার্বির আগেই ইস্ট বেঙ্গলের সহকারী কোচ বদল হচ্ছে। ভালো অফার পেয়ে সিঙ্গাপুরের ক্লাবে চলে যাচ্ছেন জোসেফ ফেরে (কোকো)। আলেহান্দ্রোর দোভাষীরও কাজ করতেন কোকো। তাঁর পরিবর্তে সহকারীর ভূমিকা সামলাবেন মার্কাল ট্রুলস সেভিলানো। শনিবার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। ইস্ট বেঙ্গল কোচের যা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ তাতে তিনি রবিবার অন্তত এক পয়েন্ট পেলেই সন্তুষ্ট হবেন। ডার্বিতে তিনি অপরাজিত দৌড় ধরে রাখতে চান। তাঁর কোচিংয়ে ইস্ট বেঙ্গল তিনটি ডার্বির মধ্যে দুটিতে জিতেছে। একটিতে ড্র করেছে।