আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন করিম লালার সঙ্গে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জোট শরিক কংগ্রেসের ক্ষোভের মুখোমুখি হন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তীব্রভাবে আক্রমণ শানানো হয় শিবসেনা নেতাকে। চাপে পড়ে একদিনের মধ্যেই নিজের মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ালেন সঞ্জয় রাউত। যার জেরে বৃহস্পতিবার নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস থেকে আসা আমাদের বন্ধুরা যেন আমার মন্তব্যে আঘাত অনুভব না করেন”।
বুধবার লোকমত মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাউত বলেছিলেন যে, ইন্দিরা গান্ধী মুম্বইয়ে ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে সক্রিয় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন করিম লালার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার কে হবেন এবং মন্ত্রিসভায় কারা যাবেন তা ঠিক করত দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল, শরদ শেট্টির মতো মাফিয়ারা। যখন হাজি মস্তান মন্ত্রিসভায় আসে, তখন পুরো মন্ত্রিসভা নেমে এসেছিল তাকে দেখার জন্য। ইন্দিরা গান্ধী দক্ষিণ মুম্বইয়ে করিম লালার সঙ্গে দেখা করতেন।”
এই মন্তব্যের পরেই মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা টুইট করে বলেছেন, “ইন্দিরা গান্ধী দেশভক্ত ছিলেন। দেশের সুরক্ষার ব্যাপারে কোনওদিন আপোস করেননি তিনি। মুম্বই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে আমি সঞ্জয় রাউতজির কাছে দাবি জানাচ্ছি, তিনি যেন তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেন। শহিদ প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কিছু বলার আগে রাজনৈতিক নেতাদের একটু ভেবে কথা বলা উচিত।”
মহারাষ্ট্রের আর এক কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সঞ্জয় রাউতকে। তিনি বলেছেন, শিবসেনা নেতা নিজের মন্তব্য ফিরিয়ে না নিলে তাঁকে আফশোস করতে হবে। তিনি টুইট করে বলেন, “যদি শিবসেনার মিস্টার কবি মহারাষ্ট্রের মানুষের জন্য হালকা ছন্দের কবিতা করেন তাহলেই ভাল। যদি তিনি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলেন, তাহলে তাঁকে আফশোস করতে হবে।”
এরপরেই নিজের অবস্থান থেকে পিছু হঠেন সঞ্জয়। সঞ্জয় জানান, ‘যদি কারও মনে হয় আমার মন্তব্য ইন্দিরা গান্ধীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বা অন্য কাউকে আঘাত করেছে, তাহলে আমি সেই বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।’ রাউত বলেন, “কংগ্রেস থেকে আসা আমাদের বন্ধুবান্ধবদের আহত হওয়ার দরকার নেই। কেউ যদি মনে করেন যে আমার বক্তব্যটি ইন্দিরা গান্ধীজির ব্যক্তিত্বকে আঘাত করেছে বা কারও অনুভূতিতে আঘাত করেছে, আমি আমার বক্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি”।