একই সপ্তাহের মধ্যে তিনবার জঙ্গীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হল সেনাবাহিনীর। গত সোমবার উপত্যকায় গুলির লড়াইয়ে বদগামে এক হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গীকে মেরেছিল সেনা। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল থেকে হিজবুলের শীর্ষ কমান্ডার হম্মাদ খান সমেত তিন জঙ্গীকে খতম করেছিল সেনা। গতকাল হিজবুল মুজাহিদিনের জেলা কমান্ডার হারুন হফজকে গুলি করে খতম করেছে সেনা। আর এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতা আটকে দিল শ্রীনগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার উপত্যকায় গুলির লড়াইয়ের পর পাঁচ জইশ জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শ্রীনগর পুলিশ সূত্রে খবর, এই পাঁচ জঙ্গীই জইশ ই মহম্মদ গোষ্ঠীর। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বড় নাশকতার ছক কষছিল তাঁরা। ধৃতদের নাম আইজাজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ চিকলা, সাহিল ফারুখ গজরি ও নাসির আহমেদ মির। সবাই হজরতবল এলাকার বাসিন্দা বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়াকি টকি, বল বিয়ারিং, ডেটনেটর, জিলেটিন স্টিক, নাইট্রিক অ্যাসিডের বোতল প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়েছে। এইসব সামগ্রী দিয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক বানিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ছক কষছিল জঙ্গীরা, এমনটাই অনুমান পুলিশের।
এছাড়াও গতকাল অবন্তিপুরা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গীগোষ্ঠীর জঙ্গীদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁদের সাহায্যও করত এই জাহাঙ্গির। কয়েক দিন আগে হিজবুল মুজাহিদ্দিনের এক কম্যান্ডারকে কাশ্মীরের দোদা জেলায় গুলি করে নিকেশ করে পুলিশ। খতম জঙ্গী কম্যান্ডারের নাম হারুন আব্বাস। ২০১৮ সালে জম্মুর বিজেপি নেতা অনিল পরিহার ও তাঁর ভাই অজিতকে খুন করেছিল এই হিজবুল কম্যান্ডার। চলতি মাসেই জম্মু-কাশ্মীর যাবেন ৩৬ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার আগে সেখানকার নিরাপত্তার দিকে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে যাতে কোনওরকমের নাশকতা না হয়, তার জন্য তল্লাশি চলছে।