নির্ভয়াকাণ্ডে আসামী মুকেশ সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপরে স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল মুকেশ সিংহ। সেই মামলায় দিল্লী হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই আর্জি নিয়ে হয় নিম্ন আদালত, অর্থাৎ যে আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল, সেখানে যেতে হবে। নয়তো সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে আবেদনকারীকে। সেখানেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জির বিষয়টি আদালতকে অবগত করাতে হবে।
প্রসঙ্গত, নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষী বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার, পবন গুপ্ত ও অক্ষয়কুমার সিংহকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তার পর হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জিও খারিজ হয়ে যায়। এরমধ্যেই দিল্লীর বিশেষ আদালতে নির্ভয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ৭ জানুয়ারি চার জনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল নিম্ন আদালত। আদালত জানিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহাড় জেলে চার দোষীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
অন্যদিকে এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) জানিয়েছিল দুই সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা ও মুকেশ কুমার। মঙ্গলবারই সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পর নিম্ন আদালতের মৃত্যু পরোয়ানার বিরুদ্ধে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে মুকেশ সিংহ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জিও জানিয়েছে সে। মুকেশের আইনজীবীদের যুক্তি, রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আর্জি মঞ্জুর করতে পারেন। তাই মৃত্যু পরোয়ানা খারিজ করা হোক। এই মামলায় কোনও রায় এখনও দেয়নি দিল্লী হাইকোর্ট।
তবে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করার পরেও ফাঁসির সাজা কার্যকরের জন্য ১৪ দিন সময় দিতে হয়। সাজাপ্রাপ্তদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে মানসিক ভাবে তাদের প্রস্তুত করার জন্যই এই সময় দেওয়ার আইন রয়েছে। সেই অনুযায়ীই ২২ জানুয়ারি চার সাজাপ্রাপ্তকে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা।