এনআরসি-সিএএর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার আসরে নামলেন বাংলার মহিলারাও। সামনেই পুরভোট। তাই সেই লক্ষ্যে দলের মহিলা ব্রিগেডকে কাজে লাগিয়েই আমজনতার দরবারে পৌছতে চাইছে শাসকদল। বুথে বুথে শুরু হয়ে গেছে কর্মশালা। প্রশিক্ষণ শিবিরে ক্লাস নিচ্ছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীরা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে মহিলারা এনআরসি-সিএএ-র প্রভাব সমাজে কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রচার করবেন।
এনআরসি-সিএএকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে তৃণমূল। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে জোরকদমে। ঘরের অন্দরমহলকে কব্জা করতে দলের মহিলা ব্রিগেডকেই হাতিয়ার করছে শাসকদল। বুথে বুথে শুরু হয়ে গেছে এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে পার্টিক্লাস।মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বই ক্লাস নিচ্ছেন প্রান্তিক স্তরের কর্মীদের।
কর্মশালায় কী শেখানো হচ্ছে? ভোটার কার্ড যাদের আছে তারাতো সবাই দেশের নাগরিক, তবে আলাদা করে কেন আর নাগরিকপঞ্জিকরণ? সিএএ-এনআরসি নিয়ে কেউ কোনও তথ্য জানতে চাইলে তা বলার দরকার নেই। ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরুদের জন্যেও এই আইন বিপজ্জনক।