আজ বুধবার কল্যাণীতে গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামছে স্যার আলেহান্দ্রোর ছাত্ররা। যাঁদের কাছে হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। লিগ টেবলে পাঁচ নম্বরে নেমে যাওয়া খাইমে কোলাডোদের কাছে তাই বড় চ্যালেঞ্জ, বড় ম্যাচের আগে জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া।
গোকুলমের বিরুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গলের প্রথম একাদশে ফিরছেন রাইট উইং হাফ পিন্টু মাহাতা। লেফট উইং হাফে শুরু করবেন হুয়ান মেরা। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পজিশনে খেলবেন কাসিম আইদারা ও লালরিনডিকা রালতে। আপফ্রন্টে খেলবেন হাইমে স্যান্টোস কোলাডো ও মার্কোস এসপাডা। দুই সাইড ব্যাকে শুরু করবেন কমলপ্রীত সিং ও অভিষেক আম্বেকর। গোলে রালতে। মোহন বাগান থেকে আসা অভিষেক এখন নিয়মিত ইস্ট বেঙ্গলের প্রথম একাদশে খেললেও প্র্যাকটিসে ওই পজিশনে নজর কাড়ছেন সদ্য দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া আভাস থাপা। ডার্বির কথা মাথায় রেখে তাঁকে বুধবার পরিবর্ত হিসেবে খেলিয়ে দেখে নিতে চান ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেহান্দ্রো।
আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গিয়েছে বলে কোনও কথা বলেননি আলেহান্দ্রো। তবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে যা প্রস্তুতি নিয়েছেন তাতে এটা স্পষ্ট, কেরালার দল রক্ষণ জমাট রেখে খেলতে নামবে তা ধরেই নিয়েছেন আলেহান্দ্রো। ম্যানিকুইন বা কাঠবোর্ডের সাত-আট জন ফুটবলারকে দাঁড় করিয়ে তাদের মধ্যে থেকে সেট পিসে গোল করার রাস্তা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন মার্কোস, কোলাডো, ক্রেসপিরা। একদম শেষ দিকে পেনাল্টি অনুশীলনও হয়েছে।
বুধবারের ম্যাচে ক্রেসপির দায়িত্ব একটু হাল্কা করতেই পাশে স্টপার আসির আখতারকে খেলাতে পারেন আলেহান্দ্রো। আর এক স্টপার মেহতাব সিংয়ের খেলায় খুশি নন লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। চার্চিল ম্যাচ হারায় ইস্ট বেঙ্গল কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে। সেই ম্যাচে মূলত মেহতাবের দোষেই উইলিস প্লাজা জয়সূচক গোল করেছিলেন। গোকুলামের ফরোয়ার্ড লাইন খুবই শক্তিশালী। ফলে বুধবার রক্ষণ জমাট রেখেই আক্রমণে যেতে চায় ইস্ট বেঙ্গল।
আজ কল্যাণীতে
দুই স্পেনীয় কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই। কিন্তু সেই ম্যাচে গোকুলম কোচ যতটা যুদ্ধের মেজাজে, ততটাই চিন্তায় আলেহান্দ্রো। কাল সকালে কল্যাণী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের পরে গোকুলম কোচ সান্তিয়াগো ভালেরা ফের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলে দিয়েছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা তিন পয়েন্ট নিতেই এসেছি। ডুরান্ড কাপের পুনরাবৃত্তি ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।’’ তাঁর দলের দুই ফুটবলার মহম্মদ ইরসাদ ও জোহিব ইসলাম আমিরি লাল কার্ড দেখে বাইরে। তা সত্ত্বেও তাঁকে ভরসা যোগাচ্ছে মূলত দুই স্ট্রাইকার হেনরি কিসেক্কা ও মার্কোস জোসেফ। গোকুলম কোচ বলেছেন, ‘‘আমাদের আক্রমণের যা শক্তি, তাতে যে কোনও রক্ষণ ভাঙতে পারে।’’