এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জেরে উত্তাল গোটা দেশ। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জেএনইউ কাণ্ডের বিরোধিতায় ছাত্র-যুবদের তরফে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এই পরিস্থিতিতে ফের নয়াদিল্লী সফর বাতিল করল ঢাকা। এবার বাংলাদেশের উপ-বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর আসন্ন ভারত সফর বাতিল করলেন। গত একমাসের মধ্যে এই নিয়ে টানা চতুর্থবার নয়াদিল্লীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা বাতিল করল ঢাকা।
উল্লেখ্য, গতমাসেই বাংলাদেশী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী তাঁদের ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। এর এক সপ্তাহ পরই জলবন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনাও বাতিল করেছিল ঢাকা। সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এর জেরেই দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক পরপর বাতিল করে চলেছে বাংলাদেশ। নয়াদিল্লীতে বিদেশমন্ত্রক দ্বারা আয়োজিত বার্ষিক বহুপক্ষীয় সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শাহরিয়ার খানের। এবার সেই বৈঠকও বাতিল করলেন তিনি।
গত মাসে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতকে সাবধান সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর প্রস্তাবিত দিল্লী সফরের আগে সাংবাদিকদের সাঙ্গে আলাপচারিতায় মোমেন বলেছিলেন, তাঁর সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ ‘অসত্য’। শুধু তাই নয়। তিনি এমনটাও জানিয়েছিলেন যে, ‘আমাদের জনগণ আশা করে যে ভারত এমন কিছু করবে না যা তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।’
উল্লেখ্য, মোমেন তাঁর সফর বাতিল করার একঘন্টা পরই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাঁর ভারত সফর বাতিলে করেছিলেন। ভারতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনই তাঁর সফর বাতিল বলে জানা যায়। আর এবার মোমেন-আসাদুজ্জামানের পথ অনুসরণ করেই তাঁর ভারত সফর বাতিল করলেন শাহরিয়ার আলম।