মোদীর কলকাতা সফর নিয়ে বাম ছাত্রছাত্রীরা আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু বিকেলে মোদী-মমতার বৈঠকের পর তাদের আক্রমণের সুর বদলে যায়। বাম ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন মমতা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধ্বস্তাধস্তি হয়ে পড়ুয়াদের। এর পরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নামেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে ‘আজাদি’, ‘নরেন্দ্র মোদী গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দিতে রাজভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েক হাজার পড়ুয়া। যার নেতৃত্বে মূলত বামপন্থী সংগঠনগুলি। এ দিকে, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে যেখানে ধরনা চলছে সেই মঞ্চের সামনে মিছিলের গতিরোধ করে পুলিশ। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে পড়ুয়ারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ দিকে, যখন এই ঘটনা ঘটছে তখন মিলেনিয়াম পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। এর পরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নামেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বিক্ষোভকারীরানানা প্রশ্ন ছুঁড়ে করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন রাজ্য সফরের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান জনৈক ব্যক্তি। জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্ৰধানমন্ত্ৰী আকাশপথে এসেছেন। জলপথে এসেছেন। উনি রাস্তা দিয়ে আসেনি। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রাজ্যে এলে কোনও সৌজন্য দেখিয়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে একজন মন্ত্রীকে পাঠাতে হয়। সে জন্য রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো হয়েছিল।’ এখনও ধরনা মঞ্চে আছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরো সময় জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পড়ুয়াদের কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের সঙ্গে দিল্লীর পুলিশের ফারাক আছে। এ রাজ্যের পুলিশ পড়ুয়াদের ওপরে আক্রমণ করে না। একইভাবে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের শান্ত হওয়ার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।