গত ৫ জানুয়ারি মুখোশধারীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল জেএনইউ ক্যাম্পাস। গুরুতর জখম হয়েছিলেন ছাত্রী ঐশী ঘোষ-সহ অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। ইতিমধ্যেই এবিভিপি এর দায় স্বীকার করেছে। আজ এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লী পুলিশ। আর পূর্বের মতই আক্রান্ত জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের দিকেই আঙুল তুলল দিল্লী পুলিশ। উল্লেখ্য, এরা আগে পুলিশের দাবি ছিল ক্যাম্পাসে হামলার সঙ্গে যুক্ত আছেন ঐশী। আর শুধু দিল্লী পুলিশই নয়, ঐশী নিজেই নিজেকে মেরে রক্তাক্ত করেছে, এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবিভিপি সভাপতিও।
ক্রমাগত ঐশীদের দিকে দোষারোপ করলেও ঐশী ঘোষ-সহ আক্রান্ত পড়ুয়া-অধ্যাপক-সহ মোট ৩৪ জনের হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেছে দিল্লী পুলিশ। যদিও, একজন এবিভিপি সদস্যকে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে এবিভিপি সভাপতি দুর্গেশ কুমার পালটা ঐশীর উপরেই দায় চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, ঐশী নিজেই নিজেকে মেরে রক্তাক্ত করেছে! তাঁর এহেন মন্তব্যের পরে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়।
সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লী পুলিশের সিটের প্রধান জয় তিরকে এবং জনসংযোগ আধিকারিক এম এস রনধাওয়া জানান, রবিবার জেএনইউতে একাধিক হামলা হয়েছিল। ঐশীদের উপর সন্ধ্যার হামলার আগে দুপুরেও হামলা চলেছিল। সেই হামলাতেই ঐশী-সহ ৯ জন অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে দিল্লী পুলিশ। দুপুরের ওই হামলায় পড়ুয়া-সহ অধ্যাপকরাও আক্রান্ত হন বলে জানাচ্ছে দিল্লী পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল।
শুধু তাই নয়, দিল্লী পুলিশ দাবি করেছিল, গত ৫ জানুয়ারি হামলার দিন ক্যাম্পাসের সার্ভার একেবারে ডাউন ছিল। যার ফলে ক্যাম্পাসে হামলার কোনও সিসিটিভি ফুটেজ তাঁদের হাতে নেই। যদিও ছাত্র সংসদ এই ঘটনার বিরোধিতা করেছে। তাঁদের পালটা দাবি, সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের ই-মেল করেছিল।
উল্লেখ্য, ঐশীদের ওপর হামলাকারী ৩৭ জনকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করে উঠতে পারেনি দিল্লী পুলিশ। এমতাবস্থায় আজও ঐশীদের দিকে যেভাবে আঙুল তুলল দিল্লী পুলিশ, তাতে যে তাদের আবার মুখ পুড়ল তা বলাই বাহুল্য।