গত মরশুমে যুবভারতীতে ১–৩ হারের ছবিটা পাল্টে গেল কল্যাণীতে। মধুর প্রতিশোধ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে উঠল সবুজ-মেরুন ঝড়। কাল সাইরাসদের দাপটে কার্যত উড়ে গেল ইন্ডিয়ান অ্যারোজ। দর্শকরা অনেকদিন মনে রাখবে সাইরাসের গোলটা। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চর্চা, ড্যানিয়েল সাইরাসের গোলটা আই লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। ১৮ মিনিটে নাওরেমের শট বিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে প্রতিহত হয়ে ফিরলে, চলতি বলেই বাঁ পায়ে দুর্দান্ত ফিনিশ (প্রায় ২০ গজ দূর থেকে) সাইরাসের। পরপর চার ম্যাচ জিতে লিগের শীর্ষে আপাতত মোহনবাগানই।
গতকাল প্রথমার্ধে অ্যারোজের হুলে বিষ না থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে চাপে ফেলে বাগানকে। বাবা দিওয়ারা ম্যাচের শেষদিকে বিপক্ষের গোল বঁাচিয়ে রক্ষা করেন। ভিকুনার দল মিশন কাশ্মীর সফল করে যেরকম ছন্দে রয়েছে, তাতে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ না জেতাটা বোধহয় বিরাট অঘটন হত। তা হয়নি। ডার্বির আগে শেষ হোম ম্যাচে জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বেইতিয়াদের। কাশ্মীরের দলটা অপরিবর্তিত রেখেছিলেন ভিকুনা। বিদেশিহীন অ্যারোজ প্রথমার্ধে দঁাড়াতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দঁাড়ালেও লাভ হয়নি। সাইরাসের গোলের পর আরও গোল হতে পারত। এ দিনও গোল পাননি স্ট্রাইকার সুহের। তবে ২৪ মিনিটে তঁার বঁা পায়ের গোলমুখী শট রুখে নিশ্চিত পতন রোধ অ্যারোজ কিপার এল জংতের। এটা বাদে প্রথমার্ধে সুযোগ পায়নি বিপক্ষ। দ্বিতীয়ার্ধে হরমিপামের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট।
ম্যাচের সেরা সাইরাস গোলটা উৎসর্গ করেন গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত জাতীয় দলের বন্ধুকে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাডন উইনচেস্টারের মৃত্যুর খবরে শোকাহত সাইরাস। বলেন, ‘ওকে গোলটা উৎসর্গ করছি।’ জুড়ে দেন, ‘আজকের গোলটা আমার কেরিয়ারে সেরা।’ পাশে বসা বাগান কোচও সাইরাসের গোলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল মোহনবাগান। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টি জিতেছে সবুজ মেরুন। একটি ম্যাচ ড্র ও একটি ম্যাচে হারতে হয়েছে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। সেই চার্চিলই এখন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁরা অবশ্য মোহনবাগানের থেকে একটা ম্যাচ কম খেলেছে। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট চার্চিলের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পাঁচ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ৮।