যখন স্যামুয়েল জনসন বলেছিল, ‘পেট্রিওটিজ়ম ইজ দ্য লাস্ট রিফিউজ অফ স্কাউনড্রেলস’, আমরা রেগে গেছিলাম দেশকে অপমান করা হচ্ছে ভেবে। আজ ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলতে বলতে এক মহিলা সাংবাদিককে মারা হলো জেএনইউ তে। পুলিশ দেখলো। মেয়েটি দৌড়ে এক সহকর্মীর পিছনে লুকোলো। দিল্লির দাপুটে মহিলা সাংবাদিক।
রাজনীতির পরিচিত মুখ যোগেন্দ্র যাদবকে বেল্ট খুলে মারা হলো। তিনবার ধাক্কাধাক্কি করা হলো। তার সাথে এক কমবয়সী ছেলে এসেছিল, মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দিলো কিছু লোক৷
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের মাথা ফাটিয়ে দিলো, রক্তারক্তি অবস্থায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এইমস এর বেড। শিক্ষার সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্যাম্পাস এই মুহূর্তে।
আজ দেশের অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী (যারা জেএনইউ এর প্রাক্তনী) ও আর চুপ থাকতে পারেনি দেখলাম। তারা ও লিখলো এই হিংসার বিরুদ্ধে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও লিখেছে, প্রাক্তনী যে….!
এরই মধ্যে কয়েকজন বলিউডের তারকা পীযূষ গোয়েলের সাথে চব্য চোষ্য খাচ্ছে এক পাঁচ-তারা হোটেলে। আজ সিএএ কতোটা ভালো সেটা সরকার তারকাদের বোঝাচ্ছে।
অর্জুন লক্ষ্যস্থির করার পরে দ্রোণাচার্য জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী দেখতে পাচ্ছো। অর্জুন উত্তর দিয়েছিল, একটা চোখ গুরু, কাঠের পাখির একটা চোখ। দ্রোণাচার্য ফের জিজ্ঞেস করেছিল , আর কিছু দেখতে পাচ্ছো? অর্জুন উত্তর দিয়েছিল, না গুরু শুধু চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। আপনি ঠিক করুন শ্রেষ্ঠ ধনুর্বিদ হয়ে ফ্যাসিবাদকে পাখির চোখ ভাববেন না এখনো ওমুক খারাপ, তমুক চোর, সে ফেকলু ভাববেন।
আজকের দিনে আপনি যদি সত্যিই অবস্থান নিতে চান, সব্বাই এক ছাতার নিচে আসুন।
এখন পক্ষ না নিলে, এখন প্রধান শত্রু না চিনলে আর কখন ?
শ্রী প্রকাশ কারাত, আপনার এসএফআই এর ঐশী ঘোষের রক্তাক্ত মুখটা টিভিতে দেখেছেন? এখনো নিশ্চয়ই আপনার মনে হয় এ দশকের সবচেয়ে বড় অভিশাপ নিউক্লিয়ার ডিল আর কংগ্রেসের হাত ছেড়ে, বিজেপিকে শক্তিশালী করে নিশ্চয়ই দারুণ কাজ করেছিলেন?
ইগো বাদ দিন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে যেখানে লড়াইটা লড়ছে সব্বাইকে এক জায়গায় আনুন। আপনারাই পারবেন। গানবাজনা করে, কাব্য করে হিটলারকে পরাস্ত করা যায়নি, করতে দরকার পরেছিল একটা স্ট্যালিনের !
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত