বিজেপিকে মহারাষ্ট্রের গদি থেকে সরাতে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছে শিবসেনা। সর্বসম্মতভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন সেনা-প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু তিনি যেন শুধু নামেই মুখ্যমন্ত্রী। কারণ অর্থ, স্বরাষ্ট্র, সেচ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির প্রায় সবকটাই নিজেদের দখলে রেখেছে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি৷ শুধু তাই নয় উদ্ধব মন্ত্রীসভার ৩৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে এনসিপিরই ১৬ জন৷ যেখানে শিবসেনা থেকে মন্ত্রী ১৫ জন৷ যার ফলে একমাস না কাটতেই এবার বিরাট ফাটল দেখা দিল মহারাষ্ট্রের মহাজোটে। পছন্দের মন্ত্রক না পাওয়ায় গোঁসা করে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শিবসেনার এক প্রতিমন্ত্রি আবদুল সাত্তার। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র এখনও গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। তবে দ্বন্দ্ব যে চরম আকার নিয়েছে তা স্পষ্ট হল এই ঘটনায়।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় আসা আবদুল সাত্তার এবারের মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিপুল ভোট জয়লাভ করার পর আশা করেছিলেন শিবসেনা তাকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেবে। কিন্তু দফতর বন্টনের সময় দেখা যায়, পূর্ণ মন্ত্রিত্বের পরিবর্তে প্রতিমন্ত্রি করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন সাত্তার। যার ফলে মন্ত্রক ভাগাভাগির ৫ দিন কাটতে না কাটতেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। তবে সাত্তারের ক্ষোভের কারণ শুধু মন্ত্রক নয়। জানা গিয়েছে, ঔরঙ্গাবাদ জেলাপরিষদ নিয়েও দলের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই নেতা।
সম্প্রতি ওই জেলার জেলাপরিষদ নির্বাচনের পর সেখানে জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ করা হয় কংগ্রেসের এক নেতাকে। যা নিয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট সাত্তার অভিযোগ জানিয়েছিলেন দলকে। তবে তাঁর কথার কোনও গুরুত্ব দেয়নি দল। এই ইস্তফার পিছনে সেটাও কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনও শিবসেনার বিধায়কই রয়েছেন ওই নেতা। তবে শুধু সাত্তার নন, মন্ত্রক বণ্টনকে ঘিরে উত্তরোত্তর সমস্যা বাড়ছে জোটের সদস্যদের মধ্যে। আগামী দিনে এই সমস্যা কাটার বদলে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।