৩৭০ ধারা বিলুপ্তিকরণের পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী মানুষজন। বন্ধ ইন্টারনেট। বন্ধ যোগাযোগ অবস্থা। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কবে সবটা ঠিক হবে তা জানেন না কেউই। কাশ্মীর যে এখন কার্যত জেলখানা তা স্বীকার করে নিলেন সেখানকার নেতা-বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি।
গতকাল প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনিই ছিলেন প্রধান বক্তা। বক্তব্য রাখার সময়ে তাঁর কথায় বারে বারে উঠে আসে মোদী সরকারের এই জনবিরোধী পদক্ষেপের জন্যে কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভূস্বর্গবাসী হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, “কাশ্মীরকে সামলানোর দায়িত্ব যাঁদের ওপর ছিল তারা কাশ্মীরকে ব্যবহার করল, খারাপ ভাবে ব্যবহার করল। ফলে, কাশ্মীর এখন বড় একটা জেলখানা”।
কাশ্মীরের এই অবস্থা তুলে ধরে তারিগামি বলেন, “বিপদ শুধু কাশ্মীরের মানুষের, তা ভাববেন না। কে বলতে পারে কাল উত্তর–পূর্বাঞ্চল থেকে ৩৭১ ধারা তুলে দেবে না! শুধু কি কাশ্মীর? উত্তরপ্রদেশটাও তো এরা জেলখানায় পরিণত করেছে। আসামেরও একই অবস্থা। কিন্তু কাশ্মীর থেকেই কেন শুরু? লক্ষ্য স্পষ্ট। হিন্দু মুসলমানে বিভেদ তৈরি। নতুন নয়। স্বাধীনতার সময় থেকেই ব্রিটিশের মতোই আরএসএসও বিভেদকামী। বামপন্থীরা সেদিন থেকেই এই সঙ্ঘ পরিবারকে চেনে। তাই আজ আমরা অবাকও হচ্ছি না, ভয়ও পাচ্ছি না।