মাথায় আদিবাসী ফুলের পাগড়ি পরে, গলায় মাদল ঝুলিয়ে আদিবাসীদের পায়ে পা মিলিয়েছেন তিনি। ছন্দে ছন্দে কোমর দুলিয়ে মন মাতিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাষ্ট্রীয় আদিবাসী নৃত্য মহোত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেল অন্যরকম রাহুলকে। শুক্রবার রায়পুরের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখান থেকেই বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ হলে দেশের কোনও লাভ নেই। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে গেলেই দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে।’
দেশজুড়ে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলন চলছে। মোদী জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও তলানিতে। বাড়ছে বেকারত্ব, জাতি বিদ্বেষ, হিংসার ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড় সরকার পরিচালিত আদিবাসী নৃত্য উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের সকল জাতি, বর্ণ, ধর্মের মানুষকে একত্রিত করে প্রশাসন পরিচালনার কথা তুলে ধরেন রাহুল।
এদিন তিনি বলেন, ‘দেশের কী অবস্থা তা আপনারা সকলেই জানেন। কৃষি ও কৃষকের অবস্থা বেহাল। কর্মসংস্থান নেই। দেশের অর্থনীতি চরম দুর্দাশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে, সব ধর্মের, জাতির বর্ণের, আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষকে একত্রিত করে চলতে না পারলে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। এছাড়া যাই করা হোক না কেন তা কাজে আসবে না। সকলে এক না হলে, সবার কথা লোকসভা-বিধানসভায় উঠে না এলে অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এগোন যাবে না।’
রাহুল গান্ধীর সংযোজন, ‘আমি প্রত্যেকটি ভাষণেই বলে থাকি, দেশের অর্থনীতি কৃষক, শ্রমিক, আদিবাসী ও দরিদ্র দ্বারা চালিত হয়। কেউ যদি মনে করে ভারতের আর্থনীতি ১০-১৫ জন মানুষের কাছে গচ্ছিত রাখবে তাহলে নোটবন্দি, জিএসটি-র মতো সিদ্ধান্ত লাগু করতে হবে। আর তাহলে আর কর্মসংস্থান করা যাবে না।’ ছত্তিশগড়ের বাঘেল সরকারের প্রশংসা করে রাহুল বলেন, ‘আমি খুশি যে এই রাজ্যের সরকার সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছে।’ তাঁর দাবি ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার আসার পর থেকে হিংসা কমেছে, অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই পার্থক্য স্পষ্ট যাবে।