সামনে থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। মোদী সরকারের এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়ে রেখেছেন তিনি। বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না বলেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক মুখ এমনটাই গতকাল দিল্লীর জনসভা থেকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকালে মোদীর বক্তৃতার বড় অংশ জুড়ে ছিল মমতা। গতকাল রাতেই সেই আক্রমণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সোমবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করলেন, এনআরসি-র বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে।
জানা গিয়েছে, সমস্ত অবিজেপি নেতাদের চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি ও সিএএর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলেও বার্তা পাঠিয়েছেন৷ এই আইনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করতে চাই৷ এই মর্মে সমস্ত অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি৷ চিঠিতে সবাইকে একসঙ্গে যৌথভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন মমতা৷ কেন্দ্রের নাগরিক আইন যাতে চালু না হ.য়, তার জন্য সবাইকে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ানোরও বার্তা দিয়েছেন মমতা৷
এমনিতেই এনআরসি বা সিএএ-এর বিরোধিতায় প্রথম থেকে সরব ছিলেন মমতাই। পথেও যেমন আগে নেমেছেন, তেমনি প্রতিবাদও করেছেন প্রতি মুহূর্তে। তাই এনআরসি নিয়ে মুখ হয়ে উঠতে সময় লাগেনি তৃণমূল নেত্রীর। রবিবারও নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের জবাবে টুইটে মমতা লেখেন, ‘আমি যা বলেছি, তা জনসমক্ষে বলেছি। আপনি যা বলেছেন তার বিচারক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী যখন জনসমক্ষে দেশজুড়ে এনআরসি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিরুদ্ধে মত পোষণ করছেন, তখন কে ভারতের মৌলিক ভাবনাকে বিভাজিত করছে? মানুশ নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবে যে, কে ঠিক আর কে ভুল।’