‘রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে এনআরসি-সিএএ চালু করা সম্ভব নয়।’ বৃহস্পতিবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন জেডিউ-এর সহ-সভাপতি তথা ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার যে গোটা দেশে এনআরসি লাগু করার হুমকি দিচ্ছেন, তা ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই নয়। এমনটাই মনে করেন পিকে। তাঁর সাফ কথা, ‘বিহারে তো হবেই না। গোটা দেশজুড়েও এনআরসি করা কখনও সম্ভব না।’
প্রসঙ্গত, প্রশান্তের দল জেডিইউ নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনে ভোট দিলেও আগাগোড়া এই বিলের কড়া প্রতিবাদ ও বিরোধিতা করে এসেছেন প্রশান্ত। লোকসভা ও রাজ্যসভায় জেডিইউ এই বিলকে সমর্থন করায় দলের সঙ্গে ফাটল তৈরি হয়েছে তাঁর।
এই জোড়া আইনের সমর্থন করায় জেডিইউ থেকে ইস্তফাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও দলনেতা নীতিশ কুমার তাঁর ইস্তফা মঞ্জুর করেননি। বরং চাপের মুখে নীতিশই ঘোষণা করেন, বিহারে কখনই এনআরসি লাগু করতে দেবেন না তিনি।
এই নিয়ে প্রশান্তের ব্যাখ্যা, ‘আমাদের দল সবসময়ই বলে এসেছে যে বিহারে এনআরসির প্রয়োজন নেই। নীতিশ আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে এই জায়গা থেকে সরে আসবেন না। আর আমি নিশ্চিত যে বিহারে সেটা হবেও না।’ কিন্তু দেশ জুড়ে এনআরসি হওয়া সম্ভব নয় এটা কেন বলছেন প্রশান্ত?
তাঁর যুক্তি, ‘বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের যেমন আইন আনার অধিকার আছে, তেমনি বাকি ৬১ শতাংশ মানুষেরও তাদের আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। মনে রাখতে হবে, দেশে এই মুহূর্তে ১৬টি রাজ্যে অবিজেপি সরকার রয়েছে।’
একই সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর মনে করিয়ে দিয়েছেন যে কোনও আইন রাজ্যে প্রণয়ন করতে গেলে রাজ্যের মেশিনারিই কেন্দ্রকে ব্যবহার করতে হয়। রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া কখনই এই আইন লাগু করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, ‘এই কারণেই আমি বলছি দেশজুড়ে এনআরসি হওয়া কখনই সম্ভব নেই। এটা নিয়ে আমার কোনও দ্বিমত নেই।’