দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে যখন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সিএএ ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ উঠে আসছে, তখন বিজেপির রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধেই এবার উত্তর প্রদেশে গর্জে উঠলেন পদ্মশিবিরের শতাধিক বিধায়ক। নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধেই ধর্ণায় বসেছেন বিধায়করা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়। লোনির বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জরকে বিধানসভায় কথা বলতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের কাজে তিনি অপমানিত। শুরুতে এই ভাষায় তিনি কথা বলেন বিধানসভায়। ফের কথা বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ খান্না। বসতে বলেন। এরপরেই বিধানসভার ভেতরে ধর্ণায় বসে যান গুর্জর। শতাধিক বিজেপি কর্মী এরপর ধর্ণায় যোগ দেন। স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু হয় ধর্ণা।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে ওঠেন গুর্জর। কিন্তু সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে দেন। তখন সমাজবাদী পার্টির বিধায়করা এগিয়ে আসেন। দাবি তোলেন, নিজস্ব মত জানানোর। বিপক্ষ দলের নেতা রাম গোবিন্দ চৌধুরী বলেন, ‘বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় কথা বলার অধিকার আছে গুর্জরের।’ কিন্তু অনড় ছিলেন স্পিকার। এরপরই সমাজবাদী পার্টির বিধায়করা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর গুর্জরের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেন। যদিও স্পিকার জানিয়েছিলেন, তিনি গুর্জরের অভিযোগ আলাদাভাবে শুনবেন। কিন্তু গুর্জর রাজি হননি। বিধানসভার ভেতরেই বসে পড়েন ধর্নায়। অবশ্য এর আগে গুর্জরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে দলের অন্দরেই।