কিছু বহিরাগতরা রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বেশ কিছু জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সময় এমনটাই জানিয়েছিল নবান্নর এক বিবৃতি। সোমবার নাগরিকত্ব বিল বিরোধী মিছিল থেকেও একই দাবি তোলেন মমতা। বলেন, তাঁর কাছে প্রমাণও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জামিরুল হাসানকে। সূত্রের খবর, আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল মিমের রাজ্য প্রধানই হচ্ছেন এই জামিরুল।
রাজ্যজুড়ে অশান্তি ও উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে কলকাতার পার্ক সার্কাস চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে হিংসার প্ররোচনা দিয়েছিলেন তিনি। গত শুক্রবার পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভের নেপথ্যে তার ভূমিকা ছিল বলেও খবর।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মিমের রাজ্য নেতাকে গ্রেফতার করার মধ্যে একটাও বার্তাও রয়েছে প্রশাসন ও শাসক দলের তরফে। এক, কাউকেই রেয়াত করা হচ্ছে না। এবং দুই, উদার হিন্দুরাও যেন বোঝার চেষ্টা করেন যে সংখ্যালঘু মানেই অন্যায় করে পার পেয়ে যাবেন তা নয়। গত এক মাস যাবত নাম না করে বারবারই ওয়েইসির দলকে কটাক্ষ করে এসেছেন মমতা। গতকালের সভাতেও নাম নেননি। তবে ইঙ্গিত যে ওয়েইসির দিকেই ছিল সেটা বুঝিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি। আগাগোড়া মুসলিম প্রধান এই দলকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সোমবারের মিছিল থেকেও তিনি বলেন, ‘বিজেপি যত না খারাপ, তার থেকেও বেশি খারাপ বিজেপির দালালগুলো।’ বস্তুত এই গোষ্ঠীর উস্কানিতেই রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়েছে বলে দাবি মমতার।
বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি গত শুক্রবার নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল খাস কলকাতার বুকে। কোথাও কোনও অশান্তির ছবি না দেখা গেলেও পার্ক সার্কাসে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এই ঘটনার দায়েই গ্রেফতার করা হয়েছে জামিরুলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই পার্ক সার্কাসে জমায়েতে নেতৃত্ব দেন জামিরুল হাসান। জামিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার, তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।