হায়দ্রাবাদের ধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুন-কান্ডে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছেন চার অভিযুক্ত। কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা যুবতীর। আদালতে সাক্ষী দিতে যাওয়ার সময়ে তাঁর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল ধর্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে এখনও জলঘোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাত পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করছে যোগী প্রশাসন।
তারপরও যোগীরাজ্যে অবস্থার যে কোনও পরিবর্তন হয়নি তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। ধর্ষণের পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হল এক কিশোরীকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার একটি গ্রামে। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা কানপুরের লালা লাজপত রাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেপুর জেলার একটি গ্রামে বাস করে ওই কিশোরী। শনিবার বাড়িতে কেউ ছিল না। সেসময় এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয় তাঁদের বাড়িতে এসে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর ওই কিশোরীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। নিজেকে বাঁচানোর জন্য চেঁচামেচি শুরু করে নির্যাতিতা। তা শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
অচৈতন্য হওয়ার আগে কিশোরীটি অভিযোগ করে, ‘বাড়িতে একা ছিলাম। সেই সুযোগে দূর সম্পর্কের ওই আত্মীয় এসে আমাকে ধর্ষণ করে। তারপর আমার সারা শরীরে কেরোসিন তেল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’ এই ঘটনার জেরে ওই কিশোরীটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই ফেরার হয়েছে সেই অভিযুক্ত। কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।