নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে শুক্রবারের পর শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে হাওড়াতেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। এদিন সকাল থেকে হাওড়া বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। নলপুর, বাউরিয়া, বাঁকড়া নয়াবাজ, সাঁকরাইল-সহ বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। এর জেরে ভোগান্তির শিকার হন রেলযাত্রীরা। এর পাশাপাশি হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে এদিন বিক্ষোভকারীরা ৬টি বাসে ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, এনআরসি ও সিএবি’র প্রতিবাদের এবার বারাসাত-বসিরহাট টাকি রোডে গোলাবাড়ি ও ঘোষপাড়া মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে স্থানীয়রা। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে এনআরসি ও সিএবি’র বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে ধরেন প্রতিবাদকারীরা। ‘এনআরসি হটাও, দেশ বাঁচাও, ক্যাব হটাও দেশ বাঁচাও, ছাত্র জনতা দিচ্ছে ডাক ক্যাব-এনআরসি নিপাত যাক, এবং ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিল মানছি না’, এই রকম নানান স্লোগান আন্দোলনকারীরা তাদের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ডে তুলে ধরেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অসাংবিধানিক, এই বিলে সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে, মূলত এই অভিযোগ তুলে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করলেন নদিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদাযয়ের মানুষজন।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। সেইমতো নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করলেন প্রায় কয়েকশো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাদের দাবি, এই সংশোধনী বিলে মুসলমানদের অধিকার এবং স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সবার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই বিলে ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সমস্যায় পড়বে। সেই কারণে অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহার করে কিছু সংশোধন করতে হবে।