এপার বাংলা তথা সারা ভারতে একমাত্র তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সকল নেতা-মন্ত্রী ও কিছু বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সদস্যদের মুখেই এই স্লোগান শোনা যায়। কিন্তু এবার সেই স্লোগানকেই নিজেদের রাষ্ট্রীয় স্লোগান হিসেবে বেছে নিল ওপার বাংলা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়েই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পড়শি দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। অবশেষে ৪৮ বছর পর সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানই বাংলাদেশের ‘রাষ্ট্রীয় স্লোগানের’ মর্যাদা পেল। সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের শুরু এবং শেষে জয় বাংলা বলা এখন বাধ্যতামূলক। এমন নির্দেশ দিয়েছে সেখানের হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে, ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চপর্যায় থেকে সর্বস্তরের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এই স্লোগান বলতে ও দিতে হবে। জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’কে ব্যবহার করতে দ্বিধা কোথায়? আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে এই স্লোগান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘সংবিধানের ৩ ও ৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রভাষা বাংলা, জাতীয় প্রতীক, জাতীয় সংগীত আছে। কিন্তু জাতীয় স্লোগান নেই। সংবিধানের ১৫০ (২)অনুচ্ছেদ অনুসারে ৭ মার্চের ভাষণটি যেহেতু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, ফলে রাষ্ট্রপক্ষ রিটকারীর আবেদনকে লিখিতভাবে সমর্থন করেছে।’