গতকালই রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ফলে সারাদেশে এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেই আলোড়ন গিয়ে পড়েছে গঙ্গাপারের দেশে। ওই বিল পাশের আঁচ কি ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতিতেও গিয়ে পড়ল? সিএবি পাশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার এমন সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের দিল্লি সফর বাতিল হয়েছে।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, যেভাবে বারবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে বিলটিকে ঘিরে তা মানে না বাংলাদেশ। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের নাগরিকত্ব বিল সংশোধনী নিয়ে প্রতিক্রিয়ার পরেই বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রীর আচমকা সফরের বার্তা দেয় নয়াদিল্লী। বলা হয়, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। কূটনৈতিক মহল ধারণা করছিল, এই বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে আলোচনা করবেন দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এ কে আবদুল মোমেনের দিল্লী আসার বার্তা দেয় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তবে কেন সফর বাতিল হল সেটা পরিষ্কার করা হয়নি।
অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই রিপোর্ট-বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাঁর সফর বাতিলের কারণ হিসেবে ১৯৭১ সালের পাক সেনার হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের শহিদ দিবসে উপস্থিত থাকার কারণ জানিয়েছেন। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর থেকে বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর দিনটি বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি বিতর্কিত বলেই মনে করে বাংলাদেশ সরকার। এ কে আবদুল মোমেন ঢাকায় জানিয়েছেন, ভারত তার সহনশীলতা নষ্ট করলে দুর্বল হবে।