লোকসভা নির্বাচনের পরে হিড়িক উঠেছিল রাজনৈতিক দলবদলের। ভোটের ফল দেখে এবং গেরুয়া বাহিনীর হুমকির মুখে বহু নেতা-কর্মীই যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কিছুদিন গড়াতেই সকলেই নিজেদের ভুল বুঝছেন। তাই ত্যাগ করছেন গেরুয়া সঙ্গ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলি তাদের হাতছাড়া হয়েছিল একে একে সেগুলি পুনরুদ্ধার করেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়। লোকসভা নির্বাচনের পর কয়েকটি জেলায় তৃণমূলের যে দলীয় কার্যালয় দখল করেছিল বিজেপি, ধীরে ধীরে সেই দলীয় কার্যালয়গুলিও তৃণমূলের দখলেই চলে এসেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘নৈহাটি, ব্যারাকপুর, হালিশহর, ভাটপাড়া–সহ দলীয় কার্যালয়গুলি এখন আমরা পুনরুদ্ধার করেছি। কোনও গোলমাল না করে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আরও আসবেন। ভাটপাড়া পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর বক্তব্য, ‘ব্যারাকপুর এখন শান্ত। কোথাও কোনও গোলমাল নেই। বিজেপি গোলমাল পাকাতে চাইলেও পেরে উঠছে না। প্রশাসন সব নজর রাখছে।’
কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয় বিজেপির হাতে চলে গিয়েছিল। এ নিয়ে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘ছোটখাটো দু’-একটি ছাড়া সব দলীয় কার্যালয়ে বসেই এখন তৃণমূলের কর্মীরা কাজ করেন। বিজেপি থেকে ফিরে এসেছেন অনেকেই। তাঁদের সকলকেই দলে স্বাগত জানিয়ে দলীয় কর্মসূচীতে শামিল করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা রেখেই ফের কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।’ একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, ‘কেউই বিজেপি সরকারের এনআরসি মেনে নিতে পারছে না। দলে ফেরার এটাও আর একটা বড় কারণ।’ একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাদের হাতছাড়া হওয়া বেশ কয়েকটি দলীয় কার্যালয় বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে শাসক দল।