লন্ডনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক মনীশ শাহ শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ক্যানসারের ভয় দেখিয়ে স্তন ও জননাঙ্গ পরীক্ষা করতেন তিনি আর তারপরেই শুরু হত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ। ছয় জন মহিলা এই অভিযোগ জানান ওল্ড বেইলি কোর্টে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই চেম্বারে বসে তাঁর রোগী দেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টে মামলার শুনানিতে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক মনীশ শাহ তাঁর চেম্বারে আসার পর রোগীদের প্রথমে হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির গল্প শোনাতেন। শোনাতেন, কিভাবে ক্যানসারের বিপদ কাটিয়ে ফের সুন্দরী হয়ে উঠতে পেরেছেন হলিউড অভিনেত্রী। তারপরেই স্তন ও জননাঙ্গ পরীক্ষার নামে শুরু হয়ে যেত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ। এমনকি প্রয়োজন না হলেও তিনি এই পরীক্ষা করতেন বলে অভিযোগ।
শুধু এই ছ’টি অভিযোগই নয়, মনীশের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে একই ভাবে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের আরও ১৭টি অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন আদালতে।
প্রসিকিউটর বেক্স আদালত সূত্রের খবর, নির্যাতিতাদের মধ্যে রয়েছেন ১১ বছর বয়সী একটি মেয়েও। এই চিকিৎসক ২০০৯-এর মে থেকে ২০১৩-র জুন পর্যন্ত পূর্ব লন্ডনের মওনে মেডিক্যাল সেন্টারে তাঁর চেম্বারে ছয় জন মহিলার শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ করেছেন।