১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু নোবেল প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না বিশ্বকবি। তারপর বাঙালি হিসেবে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। তবে তিনি নোবেল নিয়েছিলেন একেবারে পশ্চিমী পোশাকেই। তবে এবার অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল নিলেন সম্পূর্ণ বাঙালি পোষাকে।
মঙ্গলবার রাতে যখন স্টকহোমের কনসার্ট হলে নোবেল পুরস্কার নিলেন, তখন তৈরি হয়ে গেল অন্য এক ইতিহাস। এই প্রথম কোনও বাঙালি নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন ধুতি আর পাঞ্জাবি পরে। শুধু অভিজিৎবাবুই নন, তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলোও নোবেল নিলেন শাড়ি পরে। অর্থনীতিতে এ বার তিনজন নোবেল পেয়েছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই নোবেল পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার।
মহারাষ্ট্রের ধুলেতে জন্ম অভিজিৎবাবুর। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন তিনি। তারপর স্নাতকোত্তর পাশ করেন দিল্লীর জেএনইউ থেকে। এরপর চলে যান হার্ভার্ডে পড়তে। সেই সময় থেকেই দেশের বাইরে এই অধ্যাপক। তবুও শেকড়ের টান ভোলেলনি নোবেলজয়ী বাঙালি।